Header Ads

কম্পিউটার শেখা কেন প্রয়োজন ও কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব ? - OCTC

 


কম্পিউটার শেখা কেন প্রয়োজন ?

জীবিকা নির্বাহ করে বেঁচে থাকতে হলে, আজকের দিনে কম্পিউটার শিখতেই হবে। শুধু যে কম্পিউটার সংক্রান্ত কাজ করতে হলেই কম্পিউটার ব্যবহার প্রয়োজন, তা নয়। যে কাজ কম্পিউটার-নির্ভর নয়, সেখানেও কম্পিউটার জানা একটা অতিরিক্ত যোগ্যতা বলে বিবেচিত হয়। এক জন কর্মীর যদি কি-বোর্ড কী করে চালাতে হয় জানা না থাকে তা হলে সামান্য ই-মেল চেক করা বা তার জবাব দেওয়াই ঝকমারির পর্যায়ে চলে যায়। কম্পিউটারের ব্যবহার এক জন কর্মীর উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ। আসলে কম্পিউটার হলো জ্ঞানের সুবিশাল ভান্ডার অনেক গুলো পথ বা রাস্তা রয়েছে যেকোনো একটা প্ল্যাটফর্ম, জীবন গড়ে নেওয়ার জন্য যে ট্রেনেই তুমি উঠতে চাও না কেন, এই প্ল্যাটফর্মে তোমায় পৌঁছতেই হবে।

কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব ?

বর্তমানে বিদেশ ভ্রমণে কথোপকথনের অন্যতম মাধ্যম ইংরেজি ভাষা। এটি আন্তর্জাতিক ভাষা। আর কম্পিউটারকে বলা হয় আধুনিক সভ্যতার চাবিকাঠি। এর ভাষাও ইংরেজি। এ জন্য ইংরেজি ও কম্পিউটারের মধ্যে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। চাকরির বাজারেও রয়েছে এ দুটোর ব্যাপক চহিদা। সুতরাং ইংরেজি ও কম্পিউটার শিক্ষায় রয়েছে আপনার ক্যারিয়ারে সফলতার উজ্জ্বল হাতছানি। তবে বিদেশে ভাষার চাহিদা বেশি। আর কম্পিউটারে রয়েছে শেখার একাদিক বিষয় যেমন, এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট, ওয়েব ডেভেলপমেন্টসহ শেখার আছে অনেক কিছু। 

আমাদের Originative Computer - OCTC এ অনেক গুলো ক্যারিয়ার কোর্স রয়েছে সেখান থেকে যেকোনো একটি কোর্স করে নিজের দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। দেখে



আসতে পারেন আমাদের কোর্স বিবরণী।



কম্পিউটারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রায় সবকয়টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়- ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সবকয়টি বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের প্রায় অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়টি কম্পিউটার সাইন্স অথবা কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলোজি হিসেবে পড়ানো হয়। আর এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনার্স কোর্সের মেয়াদ চার বছর। দেশের বাইরে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এটি পড়ানো হয়। এছাড়া আমাদের দেশে একাদিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কম্পিউটারের ওপর সল্প মেয়াদি (৬ মাস ও ৩ মাস) প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। যেমন- সরকারি যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এছাড়া কম্পিউটারের সঠিকভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে ।এমন কোনো কর্পোরেট হাউস নেই যেখনে কম্পিউটার ম্যানের প্রয়োজন নেই।চাকরির সুবিধাদেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং দেশী ও বিদেশী ব্যাংকে উচ্চ বেতনে চাকরির সুব্যবস্থা আছে। বিসিএস-এর বিভিন্ন ক্যাডারেও ভালো ইংরেজি জানা শিক্ষার্থীদের রয়েছে যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা। আর কম্পিউটার জানা লোকদের তো রয়েছে বহুমুখী কাজের অফুরন্ত সুযোগ। এই সেক্টরে দুই ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। একটি সরকারি অন্যটি বেসরকারি। সরকারি খাতগুলো বিশেষ করে পরমাণু শক্তি কমিশন, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম, ই-গর্ভরনেন্স, স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন, রেল যোগাযোগ, বিটিসিএল, তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, একাদিক মোবাইল কোম্পানি, টেলিভিশনের নেটওয়ার্কিং সেক্টর, বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান, অনলাইন মিডিয়াতে নিউজ পোস্ট, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ডেক্সটপ পাবলিশিংয়ে বিভিন্ন বই লেখা, ছাপানো, সফটওয়ার ফার্ম, বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের আইটি সেক্টরসহ অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে আপনি চাকরির সুযোগ পেতে পারেন। আয়-রোজগার বর্তমানে কম্পিউটার খাত একটি শিল্প। এ শিল্প বিকাশে প্রতিষ্ঠানগুলো মেধাবী ও দক্ষদের নিয়োগ দিয়ে আকর্ষণীয় বেতন প্রদান করে থাকে। এখানে আপনি স্থায়ী কর্মকর্তা হিসেবে শুরুতেই মাসে প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা, প্রতিষ্ঠান ভেদে এর পরিমাণ ৪৫ থেকে ৬০ হাজার টাকাও হতে পারে। আর পরে মাসে ১ লাখ থেকে ৪/৫ লাখ টাকাও আয় করা সম্ভব। এছাড়া পার্টটাইমে কাজ করে আপনি মাসে অন্তত দশ হাজারের মতো টাকা আয় করতে পারবেন। সবকিছু মিলে এখানে রয়েছে পদোন্নতির পাশাপাশি বেতন বৃদ্ধির সুবর্ণ সুযোগ। 


 এছাড়াও রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং করার সুবর্ণ সুযোগ। নিজের বাসায় থেকে ইউরোপের ক্লাইন্টের সাথে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। 



সফলতা পেতে হলে সব পেশাতেই সফল হতে অতিরিক্ত কিছু গুণ থাকা চাই। আপনাকে হতে হবে উদ্যমী, সাহসী ও কঠোর পরিশ্রমী। আমাদের দেশে চাকরির চেয়ে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। এ জন্য চাকরি তে না ঝুঁকে উদ্যোক্তা হয়ে নিজের জায়গা করে নিন।

 বিশেষজ্ঞের অভিমতদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক ডিন ও আইএসটির বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর শাহিদা রফিক বলেন, কম্পিউটারকে বলা হয় কী অফ সিভিলাইজেশন, মানে কম্পিউটার হল সভ্যতার চাবিকাঠি। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আপনি কম্পিউটার ছাড়া কিছুই কল্পনা করতে পারবেন না। কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা অনেক কঠিন কাজকে অতি সহজে করতে পারছি। যে জাতি যোগাযোগ ব্যবস্থা তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে সে জাতি তত উন্নত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে কম্পিউটার শিক্ষা আজ মৌলিক অধিকারে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো যেমন মালোয়েশিয়া তাদের জাতীয় বাজাটের সিংহভাগ বরাদ্দ করে এই খাতে। এজন্য আমাদের সরকারের উচিত জাতীয় বাজেটের সিংহভাগ কম্পিউটার শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করা। তাহলে আমাদের দেশ আরও উন্নতির দিকে অগ্রসর হবে।


সর্বোপরি, বর্তমান সুগ হলো আধুনিক যুগ। আর এই যুগে এসেও যদি কম্পিউটার বা আইটি সম্পর্কে আপনার ধারণা না থাকে তাহলে নিশ্চিত ভবিষ্যত আপনার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়বে। 


অরিজিন্যাটিভ কম্পিউটার এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 🤝 ❤️

No comments

Powered by Blogger.