Header Ads

এম এস এক্সেস কি কেন ? - originativecomputer

 


▶️ এম এস এক্সেস কি?
মাইক্রোসফট একসেস মাইক্রোসফট কর্পোরেশন কর্তৃক বাজারজাতকৃত মাইক্রোসফট অফিস স্যুটের উইন্ডোজ ভিত্তিক একটি ডাটাবেজিক্যাল প্রোগ্রাম।

বর্তমান পর্যন্ত এম এস এক্সেস এর ২০১৯ ভার্সন হলো লেটেস্ট। এটি ২৪ সেপ্টেম্বার ২০১৮ তে বাজারে আসে।

এটি আইফোন, আইপ্যাড এবং এনড্রয়েড ফোনের জন্য চালু রয়েছে, যা বিনামূল্যেই পেয়ে থাকবেন প্লে স্টোর অথবা ‍অ্যাপল স্টোরে। এছাড়াও ওয়েব ভিত্তিক অফিস অনলাইন-ও চালু আছে।

▶️ একসেস কী ধরণের প্রোগ্রাম ?
মাইক্রোসফট একসেস হলো উইন্ডোজ ভিত্তিক জনপ্রিয় একটি শক্তিশালী রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিষ্টেম বা প্রোগ্রাম। এর বিশেষ সুবিধা হলো প্রোগ্রামিং সম্পর্কে কোন ধারণা ছাড়াই খুব সহজেই শক্তিশালী আকর্ষনীয় এপ্লিকেশন তৈরি করা যায়।

একসেস ডেটাবেজে এক বা একাধিক টেবিল ছাড়াও কোয়েরি, ফর্ম, রিপোর্ট, ম্যাক্রো, মডিউল ইত্যাদি থাকতে পারে। বর্তমানে একসেস ডেটাবেস একটি সর্বজনীন ডেটাবেস সিস্টেম বা প্রোগ্রাম হিসেবে বহুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

▶️ ডাটাবেজ ডেভেলপমেন্ট প্লাটফর্ম হিসেবে কেন এমএস এক্সেস ব্যবহার করবেন?

ডেস্কটপ ডাটাবেজ সিস্টেম হিসেবে মাইক্রোসফট এক্সেস পুরো পৃথিবীতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। কারণ এটি মাইক্রোসফট অফিস প্যাকেজের সাথে এটি বিল্ট-ইন করাই থাকে। ফলে অন্য কোন অতিরিক্ত ডাটোবেজ সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হয় না।
মাইক্রোসফট এক্সেস ভিজুয়াল বেসিক দ্বারা খুব সহজেই ইউজার-বান্ধব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা সম্ভব।

ওরাকল বা এসকিউএল বড় আকারের সার্ভারের তুলনায় একসেস ডাটা ইম্প্লিমেন্ট ও মেইনটেইন করার জন্য সহজ।
সামান্য কিছু অসুবিধা ছাড়া সঠিকভাবে একসেস দ্বারা ডিজাইন করা ডাটাবেজ ওরাকল বা এসকিউএল সাভারে পোর্ট করা যায়।
মাইক্রোসফট এক্সেস দ্বারা তৈরিকৃত প্রোগ্রাম ওয়েব সাইটের রিমোট ইউজারের জন্য ব্যবহার করা যায়।
ডাটাবেজ সাপোর্টের জন্য এম এস এক্সেস হতে পারে আপনার প্রধান চয়েজ। কারণ, অন্যান্য ডেস্কটপ সিস্টেম ডাটাবেজের চাইতে একসেস এর সাপোর্ট ও ডেভেলপমেনটি কনসালটেনসি বেশি রয়েছে।
আপনার কোম্পানি যদি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি এবং উন্নিত হতে থাকে তবে সাথে সাথে এক্সেসও তার ক্যাপাবিলিটি আপগ্রেড করতে পারে। কিন্তু যদি আপনার ডাটাবেজ আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে কিছুটা সমস্যা পোহাতে হবে। সেজন্য আপনার ডাটাবেজটি Access Data Project (ADP) দ্বারা এসকিউএল সার্ভারে আপডেট করতে পারেন।

▶️ এক্সেস অবজেক্ট ধারণা?
এক্সেস ডাটাবেজে ৪ ধরণের অবজেক্ট রয়েছে। যথা: টেবিল, কুয়েরি, ফর্ম, এবং রিপোর্ট। এই সকল মিলিত অবজেক্টের সমন্বয়ে আপনার চাহিদা মোতাবেক ডাটা এন্ট্রি, সংরক্ষণ, এনালাইজ এবং কম্পাইল সম্পাদন করা যায়।

▶️ টেবিল (Table)
ডাটাবেজ হলো ডাটা কালেকশন যা বিভিন্নভাবে অর্গানাইজ করা যায়। এম এস এক্সেসে সকল ডাটাসমূহই টেবিলে সংরক্ষিত হয়। আর এ কারণেই টেবিলকে ডাটাবেজের হার্ট (Heart) বলা হয়।

এম এস এক্সেসে রো কে রেকর্ড এবং কলামকে ফিল্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। একটি ফিল্ডের প্রত্যেকটি তথ্য একই ধরণের হয়ে থাকে। আরেকটু খোলাসা করে বোঝার জন্য বলতে হয়। যেমন ধরুন, আপনার টেবিলে Name ও Address নামে দুটি ফিল্ড রয়েছে। ডাটা এন্ট্রি করার সময় Name ফিল্ডে শুধু নাম এবং Address ফিল্ডে শুধু ঠিকানা লিখা হবে।

একইভাবে এক্সেসে প্রতিটি রো একেকটি রেকর্ড হিসেবে পরিগণিত হয়। একটি রো এর প্রতিটি সেলের তথ্যের সমন্বয় হলো রেকর্ড।

মূলত টেবিল হলো ক্লোজলি রিলেটেড তথ্যসমূহ স্টোর করে। ধরুন, আপনি একটি কম্পিউটার ব্যবসা পরিচালনা করেন। আপনার প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার রিলেটেড মালামাল বিক্রয় করা হয়।

এজন্য আপনি একটি ডেটাবেজ তৈরি করেছেন। যার ফিল্ডগুলো হলো ID, Customer’s Name, Mobile No, Home Address এবং Email Address।

আপনি যদি আরো কোন তথ্য যুক্ত করতে চান যেমন- আপনি চাচ্ছেন প্রতিটি কাস্টমারের বিক্রিত পণ্যের নাম লিপিবদ্ধ করবেন। এজন্য আপনাকে শুধুমাত্র পূর্বের টেবিলের মধ্যে নতুন একটি ফিল্ড যুক্ত করে তার ভেতর তথ্য ইনপুট করতে হবে।

▶️  ফর্ম, কুয়েরি এবং রিপোর্ট কী?
ডাটাবেজের টেবিল অবজেক্টের ভেতর ডাটাসমূহ স্টোর থাকে এবং বাকী অবজেক্টগুলো- ফর্ম, কুয়েরি, এবং রিপোর্ট এর টেবিলে স্টোরকৃত ডাটা নিয়ে বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করে থাকে। এই সমস্ত অবজেক্টগুলো আপনার ডাটাবেজের টেবিলে সংরক্ষিত রেকর্ডগুলির সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করে থাকে।

📣 ফর্ম (Form)
রেকর্ডসমূহ ইনপুট (ইনসার্ট), মডিফাই এবং ভিউ করার জন্য ফর্ম ব্যবহার করা হয়। যখন ফর্মের মাধ্যমে ডাটা ইনপুট করা হয় তখন ইনপুটকৃত রেকর্ড টেবিলে যুক্ত হয়। ফর্মের মাধ্যমে একাধিক টেবিলেও ডাটা ইনপুট করা যায়।

যদিও টেবিলে সরাসরি ডাটা ইনপুট করা যায়। তবে কাজটি খুবই বোরিং। কিন্তু একাধিক টেবিলে ইনপুট করার ক্ষেত্রে কাজটি জটিল হয়ে পড়ে। কাজটি খুব সহজেই নান্দনিক ফর্মের উপস্থাপনের মাধ্যমে এক বা একাধিক টেবিলে ডাটা ইনপুট করা যায়।

📣 কুয়েরি (Query)
কুয়েরি দ্বারা ডাটাসমূহ খুঁজে বের করা যায় এবং একাধিক টেবিল হতে তথ্য সংকলন করা যায়। এম এস এক্সেসে যখন কুয়েরি তৈরি করবেন; তখন আপনার কাঙ্খিত তথ্য সঠিকভাবে খুঁজে পেতে আপনাকে সঠিক সার্চ কণ্ডিশন যুক্ত করতে হবে।

সাধারণ সার্চের চেয়ে কুয়েরি হলো আরো অনেক বেশি পাওয়ারফুল। আপনি একাধিক শর্তসাপেক্ষে টেবিল হতে কুয়েরির মাধ্যমে ডাটা খুঁজে বের করতে পারবেন। একটি ওয়েল ডিজাইন কুয়েরি দ্বারা খুব সহজে টেবিল হতে জটিল তথ্য খুঁজে বের করা যাবে। (কুয়েরি তৈরির সময় বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে)

📣 রিপোর্ট (Report)
ডাটাবেজের রক্ষিত টেবিলের প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ প্রতিবেদন আকারে দৃষ্টিনন্দন ফরমেটে  প্রদর্শন ও প্রিন্ট করাকেই রিপোর্ট বলে। রিপোর্ট কয়েক ধরণের হয়ে থাকে।

📃 ডিটেইল রিপোর্ট
📃 সামারি রিপোর্ট
📃 ক্রস-ট্যাবুলেশন রিপোর্ট
📃 গ্রাফিক্স এণ্ড চার্ট রিপোর্ট
📃 ফর্মস রিপোর্ট এবং
📃 লেবেল রিপোর্ট।
📃 রিপোর্টের বিভিন্ন অংশ

এম এস এক্সেস রিপোর্ট ডিজাইন বিভিন্ন সেকশনে ভাগ করা থাকে। সেকশনসমূহ নিম্নরূপ:-

📃 রিপোর্ট হেডার
📃 পেজ হেডার
📃 গ্রুপ হেডার
📃 ডিটেইল
📃 গ্রুপ ফুটার
📃 পেজ ফুটার
📃 রিপোর্ট ফুটার

আশাকরি, এম এস অফিস সম্পর্কে কিছু সাধারণ ধারণা পেয়েছেন।
ধন্যবাদ।

যোগাযোগ :

🏫ঠিকানা : রবি টাওয়ার (ওয়্যার্লেস), মিরশ্বরাই, চট্টগ্রাম।

📞 মোবাইল : +88 01515681804

📧 জিমেইল : originativecomputer@gmail.com

পেইজ https://www.facebook.com/OriginativeComputer

🌐 ব্লগসাইট : https://originativecomputer.blogspot.com/


#octc #originativecomputer #msaccess #msoffice 


No comments

Powered by Blogger.